Wednesday, May 1, 2024

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


 

(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম শ খানেক টেক্সট+ইমেইল পেয়েছি। এত মানুষকে পার্সোনালি কাউন্সেল করা সম্ভব না, আশা করি এই লেখাটা পড়লে প্রাসঙ্গিক ম্যানিপুলেশন আপনারা ধরতে পারবেন ও নিজের এটেনশনের ভ্যালু বুঝতে পারবেন।)

বেশীরভাগ ছেলেই জানে না যে তাদের এটেনশন হলো কারেন্সীর মতন। এটেনশন যখন ফ্রিতে বিলানো হয় তখন ছেলেরা নিজের রিসোর্সের লেভারেজ হারায় ও নিজের দাম কমায়

মর্ডান চাল্লু মেয়েদের নিজের চারপাশে একদল ‘বেটা মেইল’ ঘুর্ণায়মান অবস্থায় রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এই ধরণের বেটাদের ‘অরবিটার’ নামে ডাকা হয় (কমেন্টে একটা ডেফিনিশন দেয়া হলো)। এরা সেই দল যাদের সাথে মেয়েরা রোমান্টিক্যালি সিরিয়াস হবে না, বড়জোর ব্যাকআপ গাই বানাবে। উপগ্রহের মতন এদেরকে আশেপাশেই রাখবে- কারণ এরা সার্ভাইবলে সাহায্য করে

এসাইনমেন্টে হেল্প করার জন্য, ফ্রিতে পড়া বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অথবা ঝামেলায় পড়লে ডাকার জন্য কিংবা রাত বিরাতে ইমোশনাল গারবেজ গপ্প ডাম্প করার জন্যে হলেও দুই-একজন নিঃস্বার্থ বেটা অরবিটার দরকার

ডুয়াল মেটিং স্ট্র্যাটেজির প্রথমটা হলো ভালো জিনের জন্য মেইটিং, পরেরটা হলো রিসোর্সের জন্য মেইটিং। দুই নাম্বার স্ট্র্যাটেজির বেনেফিটটা বেটা অরবিটারদের থেকে নেয়া হয় ঠিকই আর রিটার্নে দেয়া হয় ঘোড়ার ডিম (মানে অরবিটার মেইটিং পায় না কিন্তু রিসোর্স দেয়)। মেয়ের তরফ থেকে অল্প বা প্রায় বিনা ইনভেস্টমেন্টে এদের উপযোগিতা কাজে লাগানো হয়

তো এই আজগুবি একপাক্ষিক ডিলটা কিভাবে হয়? অরবিটারদের ফিশিং করার পদ্ধতিটা ইন্টেরেস্টিং। যতক্ষণ এরা মূল রোমান্টিক ইন্টারেস্ট লুকিয়ে রেখে বেস্টফ্রেন্ড বা ভাইয়া হিসেবে ঘুরবে, ইনভেস্ট করতে থাকবে- মেয়ে সায় দিবে। একটু সিরিয়াস হতে গেলে মেয়ে আবার পিছায় আসবে

পসিবিলিটি’ দেখিয়ে বলদ ও লাস্টফুল ছেলেদের ব্যবহার করার ব্যাপারটা নতুন না, এটা নিয়ে পশ্চিমে বইও লেখা হয়েছে। মেয়েদেরকেও সালমানেরা ব্যবহার করে। তবে সালমানরা সংখ্যায় কম আর সিম্পরা সংখ্যাগরিষ্ঠ- আগের একটা লেখায় ব্যাখ্যা করেছি

ধরেন ছেলে গিফট দিচ্ছে, টাইম দিচ্ছে, গপ্প করে মেয়ের মন ভালো করছে বা অন্যকোন ভাবে ইনভেস্ট করছে- মেয়ে প্রশংসায় ভাসায় দিবে। এমন ভাব ধরবে যেন কিছুই বুঝতেসে না, এগুলো কিসের লক্ষণ সে যেন জানেই না। যেই না ছেলে একটু এস্কেলেট করতে চাইবে, একটু বেশী রোমান্টিক হিন্টস দিবে- তখনই মেয়ে আলোর বেগে প্রসঙ্গ পাল্টাবে

সাধারনত এভাবে কিছুদিন যায়। একসময় রামভোদাই ছেলে কনফিউজড হয়ে সরাসরি প্রপোজ করে। তখন এরকম দৃশ্যের অবতারণা হয়ঃ

১। সে এক বেদনাদায়ক কাহিনীঃ মেয়ের ফ্যামিলির কোন দুঃখের কাহিনী বের হয়, যে কারণে মেয়েটা এখন এসবের জন্য প্রস্তুস্ত নন- এমন ব্যাখ্যা। অথবা দুষ্ট ছেলেদের সাথে আগের এক্সপেরিয়েন্স থেকে উনি কিভাবে স্ট্রাস্ট ইস্যু ডেভেলপ করেছেন সেই ব্যাখ্যা

২। পবিত্র বারবীঃ ছেলেদের সাথে রেগুলার গ্যাঁজানো মেয়েটি ব্যাখ্যা দিবেন রিলেশন কেন হারাম ও বন্ধুত্ব কেন পবিত্র। ‘আইলাবু’ বলার আগে ফেরেশতাঁরা পাপ লেখা শুরু করেন না- এ বিষয়ের শানে নজুল আলোচনা করা হবে

.৩। তুমি সবার থেকে ভালো ও আলাদাঃ পিতিবিটা বড় স্বার্থপর ভায়া, ভাত ছেটালে একটা চড়ুইও হামাকে দাম দেয় নাই

কিন্তু ব্রো থুমি কিছু পাওয়ার আশা না করেই যে মাস্ত সার্ভিস দিতেসো এতে প্রমাণ হয় তুমি একটা ভালো মানুষ। তোমার মত মানুষ পৃথিবীতে আরো দরকার। তুমি দ্যা বেস্ট, তুমিই স্পাইডারম্যান ও ব্রাদার তেরেসা

৪। তুমি অনেক ইম্পর্ট্যান্ট, তুমিই সব থেকে ক্লোজ কারণ আমি তোমার সাথে সব শেয়ার করিঃ নিকোলাদা বলেছিলেন মেয়েরা যার সাথে ফ্রি হয় তারে রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে মাসিকের ডেট সবই বলে দেয়। তাই এটারে খুব আহামরি কিছু ভাবার দরকার নাই। মেয়েটা মূলত আপনার সময় নষ্ট করছে। সারাদিনের গার্বেজ শেয়ার করে নিজেরে হাল্কা করছে, ফলে লাভটা তারই হচ্ছে

ভাইয়েরা হাম্বা বলদ হোয়েন না, যুগে যুগে মেয়েরা যে পুরুষকে সত্যিকারের ইম্পর্ট্যান্ট ভেবেছে তার কোমরে উঠানামা করেছে, খোশগল্প করে নি। মেয়েরা ঘন্টার পর ঘন্টার গপ্প করে তার সইদের (মেয়ে বন্ধু) সাথে, আপনি মূলত তার বান্ধবী ললিতা ছিলেন

৫। তুমি রেসে এগিয়েঃ মেয়েটা প্রথমে ক্লিয়ার করে নিবে সে আপনার প্রস্তাবে আগ্রহী না

এরপরে কিছু গাজর ও মুলা ঝুলাবে। যেমন ওর মা আপনার কথা রেগুলার জিজ্ঞেস করেন, ছোটভাই, বান্ধবিরা আপনাকে খুব্বি পছন্দ করেন, ওর কাছে আপনার একটা গ্রহনযোগ্যতা আছে ইত্যাদি এবং লেগে থাকলে ভবিষ্যতে সফলতা আসলেও আসতে পারে- এমন হিন্টস দেয়া হবে

৬। তাড়াহুড়ো করছোঃ যদিও আপনি জানেন যে এই মেয়ের পিছে বহুদিন যাবত ঘুরে নিজের পাছা ফাটিয়ে চৌচির করে ফেলেছেন। কিন্তু মেয়ের মতে আপনি আসলে বড্ড তাড়াতাড়ি প্রেম নিবেদন করেছেন, হাদিসে আছে তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ

৭। গিল্ট ট্রিপিংঃ মেয়েটা এডভান্টেজে আছে। ফ্রিতে বিনোদন ও সুবিধা নিচ্ছে থাকে আর ফাটছে ছেলেটার

কিন্তু ছেলে প্রপোজ করলে মেয়েটাই আগ বাড়ায় বলবে, “বড্ড কষ্ট দিলে হে সুজন, তুমিও আমায় ওভাবে দ্যাখো? ছি! (ইশ এভাবে যদি ভার্সিটির পশ গিটারিস্ট ভাইয়াটা দেখতো!) বিশ্বাস ভেঙ্গে দিলে গো, কষ্টে মরে যাচ্চি ওরে।”। ভাবখানা এমন যেন এতদিন হেতীই ইনভেস্ট করেছে আর লসটা যেন তারই হয়েছে

এই টেকনিকের প্রশংসা করতে হয়। কারণ এতে বেচারা ছেলে ওর নিজের কষ্টের কথা বলার আগেই গিল্টের চোটে অফ মেরে যায়। ভবিষ্যতেও প্রণয় ঘটিত সিরিয়াস কথা তুলতে লজ্জা পাবে। আরেক ধরনের গিল্ট ট্রিপ হলো- ধরেন মেয়ে পশ ভাইয়াকে পেয়ে রিলেশনে গেল। এতে লিস্টে থাকা প্রধান অরবিটার হতাশ হয়ে অরবিট করা বন্ধ করে দিলে,

তখন বলা হবে- ‘তুমিও বাকিদের মত স্বার্থপর ছিলে সুজন, নিজের স্বার্থের জন্য এসেছিলে। সত্যিকারের ভালোবাসলে এমন করতে না হু।’

৮। কম্পারিজনঃ আরো ম্যানিপুলেশন আছে যেগুলো বাড়াতে থাকলে একটা বই হয়তো হয়ে যাবে। তবে মেনশন করার মত আরেকটা হলো- অন্যান্য ছেলেদের সাথে কম্পারিজন। লাইক “অমুকে আমার জন্য এই-সেই করেছে, এমুকই আমার আসল কেয়ার করে। অমুকের গুরুত্ব আমার জীবনে অপরিসীম”

চাল্লু মেয়েরা এই কাজটা করে। অন্য অরবিটার বা ছেলের সাথে কম্পেয়ার করে বলদ, স্পাইনলেস পোলাদের মধ্যে কম্পিটিশন ও ডেস্পারেশন বাড়ানো হয়

অনেক মেয়ে কমিটমেন্টের পরেও এই বাঁদরামোটা করে থাকে, কারণ ছেলেটা এই ধরণের বুলশিট প্রথম থেকেই সহ্য করে গিয়েছিল। ফলে স্ট্রং বাউন্ডারি সেট করতে পারে নাই। সরাসরি বলে দেই- ভবিষ্যতে এরকম মেয়েকে বিয়ের ডিসিশনটা অবশ্যই রিকনসিডার করবেন, আর পারলে অবশ্যই ডিচ করবেন

৯। যা সত্যি তাই, নো ম্যানিপুলেশনঃ মেয়ে নিঃসংকোচে সরাসরিই বলবে আপনার জন্য উনি আসলে কিছু ফিল করেন না এবং শুধু বন্ধুই থাকতে চান। মেয়ে সিচুয়েশন ভেদে আপনার জন্য ‘সরি’ও ফিল করতে পারেন অথবা আপনার ফিলিং নিয়ে হাল্কা ট্রোলও করতে পারেন। এরকমটা তখন হয় যখন মেয়েটা আত্নবিশ্বাসী থাকে যে-

ক) সত্যি শোনার পরেও অরবিটিং কন্টিনিউ করার মত তীব্র সিম্প আপনি। উনি জানেন আপনি একজন ডোরম্যাট এবং সত্যিটা জানলেও পিছে ঘুরতে থাকবেন। (জীবন্ত পাপোষদের সাথে মেয়েরা ভয়ানক নির্দয় হতে পারে)

খ) অথবা আপনার ভ্যালু মেয়েটার চোখে এতই লো যে আপনার সাথে আপাতত কোন ফিউচার সে দেখতে পাচ্ছে না। আরো ভালো ছেলে ওর হাতে আছে , সুতরাং আপনারে হারানোর বিশেষ ভয় উনার নাই

দেখেন আমি পুরোপুরি নিশ্চিত, এতক্ষণ যারা পড়েছেন তারা কোননা কোন সময় উপরের অন্তত দুই-একটা ঘটনা দেখেছেন অথবা অন্যের উপর ব্যবহার করেছেন

প্যাটার্ন জানা না থাকার জন্য অনেক কমবয়সী ছেলেই ম্যানিপুলেশন ও মিক্সড-সিগনাল ধরতে পারে না। মেয়ে তারে একদিন হাসায়, আরেকদিন কাঁদায়- এভাবে অনেক দিন চলার পর সাধারণত কনফিউশনে মাথা হ্যাং হয়ে যায়, তখন আমাকে ইমেইল করে

দেখেন, আরো সহজ করে ভেঙ্গে দেই, ম্যানিপুলেশনটা মূলত দুই ভাবে হচ্ছে-

১) আশা দেখিয়েঃ এভাবে কামলা খেটে গেলে একদিন ভালো কিছু হবে এমন বুঝিয়ে

২) এথিক্স মারিয়েঃ আপনি ভালো ছেলে। প্রত্যাশা না করে অরবিটিং চালিয়ে যাওয়া আপনার একটা পবিত্র এথিকাল দায়িত্ব। ওইযে কিছু ছেলে আছে না? যারা……

গতবছর ভার্সিটি পড়ুয়া এক ছেলে খুবই বাজে অবস্থায় আমাকে টেক্সট করেছিল। সব শোনার পর আমি অনেক বুঝিয়ে তারপর মেয়েটার সাথে সমস্ত যোগাযোগ কেটে দিতে বললাম। তখন সে বলেছিল “কিন্তু ভাইয়া আমাকে ছাড়া যে ও বড্ড একা হয়ে যাবে, আমিই ওর সবচেয়ে কাছের মানুষ। আমি চলে গেলে ও কিভাবে থাকবে?”

বুঝেন এখন বারবীদের ম্যানিপুলেশন কাহারে কয় 😑ছেলের রেজাল্ট খারাপ হচ্ছিল, ডিপ্রেশনে গান্ড ফেটে হাতে চলে আসছিল, তারপরেও সেই মেয়ের কথা ভাবছিল যে তাকে বহু মাস ঘুরাইতে ঘুরাইতে ফ্রেন্ডজোন করে রাখসে

বেচারা মেয়েটার স্বার্থবাদী ইভল নেইচার ধরতেতো পারেই নাই, উল্টো তারে ছোট্ট ডেলিকেট এনজেল মনে করে যাচ্ছিল

সোসাইটি ছেলেদের বুঝাইসে- ‘যেই মেয়ে আপনার ফ্যামিলির না, আপনাকে গুণেনা তাকেও সেইভ করাটা আপনার বড় দায়িত্ব। ইহাই পুরুষত্ব আর ইহাকেই chivalry বলে’। কেউ তো আগ বাড়িয়ে এটাও প্রচার করছে যে কাকোল্ড্রির মাধ্যমেও নাকি পুরুষত্ব জাহির করা যায়

সিউডো পুরুষত্বের বেশ ধরে এরকম white knight তৈরি করাই মূলত গাইনোসেন্ট্রিক কালচারের কাজ। গাইনোসেন্ট্রিক কালচার অরবিটার ধারা চালু রাখতে কিছু ম্যাক্সিম বানিয়েছে যেগুলো আন্ডার এইজড ছেলেদের আরো বেশী ম্যানিপুলেশন-Prone বানায়

একটা কমন ম্যাক্সিম যা নাটক সিনেমার মাধ্যমে পুশ করা হয়, সেটা হলো ‘লংগেইম’। অরবিটারা মনে করে মন জয় করতে হলে দীর্ঘ সময় নিয়ে পিছে ঘুরঘুর করতে হয়। যারা আমার আগের লেখা পড়েছেন তারা জানেন লংগেইম কেন বাকোয়াস

আগের পোস্টের এনবিএ প্লেয়ার ও ডিক্যাপ্রিওদের উদাহরনে বোঝা গেছে ডমিনেন্স হায়ারারকির উপরের পুরুষদের দীর্ঘসময় লাগে না। লংগেইমে সাক্সেস রেট অনেক কম আর ভাগ্যক্রমে সাক্সেসফুল হয়ে গেলেও বাউন্ডারি সেট করতে নানা সমস্যায় পড়বেন কারণ আপনি নিজের স্পাইন বিকিয়ে দিয়েছেন।   

অন্যদিকে চালাক পোলারা কি করবে বলি, এরা নিজের বেনেফিট ১০০% ইনশিউর করবে। এরা জানে ছেলেদের ভ্যালু নির্ভর করে সেলফ ডেভেলপমেন্টের উপর। তাই নিজের রুটিনের সাথে কখনোই কম্প্রোমাইজ করবে না এবং লাইফ নিয়ে ফোকাসড হবে, হাইপারগামীকে নিজের এডভান্টেজে কাজে লাগাবে। ফ্রি এটেনশনতো দিবেই না বরং এটেনশনকে মুদ্রার মত ইউজ করবে

কোন মেয়ে মিক্সড সিগনাল দিলে আনএপোলজেটিক্যালি তাকে বাদ দিয়ে নেক্সট প্রার্থীর সাথে কথা বলবে। এরা ম্যানিপুলেশন ও গিল্ট ট্রিপিং চট করে ধরে ফেলতে পারে। নিজের এডভান্টেজটা জানে, এরা জানে যে যথেষ্ট যোগ্য হইলে মধ্য বয়সেও বহু সুন্দরী মেয়ে পাওয়া যাবে

ফলে এরা ক্ষুধার্ত কাক হয় না এবং একজনের উপর সময় নষ্ট করে না। মোটকথা এরা মার্কেটে নিজের ভ্যালু বাড়ানো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ও মেন্টালি এবান্ডেন্সে থাকে

আমি মনে করি যেসব ছেলেরা নিজের বেস্ট বেনেফিটে অপারেট না করে অন্য লিঙ্গের খেলাধুলার স্বীকার হয়েছে- তার দায় সম্পূর্ণ তাদের নিজের। সবাই নিজের প্রফিটই দেখবে, আপনি দয়ালচন্দ্র রোমিও হয়ে ইউজড হয়েছেন আপনার নিজের কারনে। তাই অন্যকাউকে দোষ দেয়ার আগে নিজেকে দোষারোপ করুন ও এর থেকে বেরিয়ে আসুন

অরবিটাররা ডেস্পারেট থাকে, কারণ তারা মনে করে এমন কাউকে আর পাওয়া যাবে না। এরকম মনে হবার কারণ- তাদের বয়স কম, নিজের লাইফে এখনো যথেষ্ট ভ্যালু এড করে নি, নিজেকে সেই লেভেলে আপগ্রেড করে নি- তাই যথেষ্ট সংখ্যক সুন্দরী মেয়েদের রাডারে আসে নি। অথবা ভালোভাবে ম্যাট্রিমনিয়াল মার্কেটপ্লেস এক্সপ্লোরই করে নি, তাই এখনো scarcity মাইন্ডসেটে পড়ে আছে

সুতরাং নিজের এটেনশন বিলিয়ে না দিয়ে বরং সেই সময়টায় নিজের উপর ওয়ার্ক করেন, ক্যারিয়ার-পার্সোনালিটি ঠিক করেন, লেভেল আপ করেন- বিশ্বাস করেন পেছনে ঘোরা লাগবে না, আরো ভালো মেয়ে এমনিতেই পাবেন। নিজের লাইফস্টাইল বেটার করলে নারী বাই ডিফল্ট একটা আউটকাম হবে, সুতরাং কম বয়সে ‘জাস্ট একজনের প্রতি’ (বা কালেকটিভলিও) ইর‍্যাশনাল অবসেশনটা বাদ দেন। পুরুষদের লেভারেজটা ঘোরাঘুরি, কামলা দেয়ার মধ্যে আসলে নাই সেটা আগে বুঝুন

পশ্চিমের মেয়েরা ম্যানোস্ফিয়ারের উপর ক্ষ্যাপা কারণ একপাক্ষিক সুবিধা নেয়ার স্কিমটা ফাঁস হয়ে গেছে। আমার উপরে ভোদলিব উমেনেরা সব থেকে বেশী ক্ষেপেছিল ‘ছেলে বেস্টফ্রেন্ড’ ও ‘সিম্প’ নিয়ে লেখার পর, যদিও আমি আসলে বকাবকি করেছিলাম মূলত ছেলেদেরই। এখন ‘বেটা অরবিটার’ আগের দুইটার সাথে যোগ হলো

উপরের আলাপ বুঝতে পারলে এটাও বুঝবেন যে, আপনাকে রেঁধে খাওয়ানো, লইয়াল গিন্নি কেন দামী। কারণ তিনি আপনার লাইফে একচুয়ালি ইনভেস্ট করছেন। তাঁকে রেখে ফেইসবুক ও রাস্তার মেয়েকে আপনার দামী এটেনশন কখনোই বিলাবেন না

(শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে সকল বেটা সিম্প-কামলাদের শুভেচ্ছা)

 

মূল লিখাটা ওমন বিন মাহতাব ভাইয়ের। আমার মন্তব্য নিচে দেয়া হলঃ
আপনি আপনার মাহরাম নারীবাদে মানে মা, বোন, মেয়ে, স্ত্রী ইত্যাদি বাদে বাকী কাউকে ভাউ দেয়া মানেই সময় নষ্ট, সময় নষ্ট মানেই জীবন নষ্ট ও বিপদ।

 

Which Air conditioner to buy?

আমরা এসি সাধারণত ২ ধরনের দেখতে পাই,
১. ইনভার্টার এসি।
২. নন-ইনভার্টার এসি।

ইনভার্টার এসির কথা বলার আগে নন- ইনভার্টার এসির কথা বলি। কারন, নন- ইনভার্টার এসি আমরা আগে থেকে ব্যবহার করছি যা প্রচলিত টেকনোলোজিতে তৈরি। এ ধরনের এসিতে রোটারি কম্প্রেসার থাকে।
অপরদিকে ইনভার্টার এসি আজ থেকে প্রায় ৭-৮ বছর আগে আসা শুরু হয়েছে। এই এসির দাম নন- ইনভার্টার এসির তুলনায় অনেক বেশি। এটি dc কারেন্টে চলে। বর্তমানে ইনভার্টার এসির দাম অনেকাংশে কম হয়ে গিয়েছে। তবু ভাল মানের ইনভার্টার এসি,নন- ইনভার্টার এসির তুলনায় এখনো প্রায় ৫০ % দাম বেশি।[LG,General]

এখন আমরা এই দুই ধরনের এসি সম্পর্কে একটু গভীর ভাবে জানব। বলব এগুলো কিভাবে চলে।

১. নন- ইনভার্টার এসি:- এ ধরনের এসি বেশি কারেন্ট ব্যাবহার করে। ফলে অনেক সময় দেখা যায় এসি অন করলে রুমের লাইটের আলো একটু কমে যায়। এর কারন এই ধরনের এসিতে যে কম্প্রেসার থাকে তা শুরুতেই একদম ফুল স্পিডে চলা শুরু করে। ফলে অনেক বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে। এতে ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে বেশ ঠান্ডা বাতাসের মাধ্যমে রুম ঠান্ডা করে ফেলে। মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায় যাকে আমরা বলি থার্মস্টাট। ধরুন আমি এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রিতে দিয়ে রেখেছি। এসি চলতে চলতে ৫-৭ মিনিট পর বন্ধ হয়ে যায় আবার ৫-৭ মিনিট পর চলতে শুরু করে। এভাবে নন- ইনভার্টার এসি বা নরমাল এসি চলে। অর্থাৎ নন- ইনভার্টার এসি, হয় ফুল স্পিডে চলবে না হয় একদম বন্ধ হয়ে যাবে। এরা কম্প্রেসারের পাওয়ার কন্ট্রোল করতে পারে না।
২. ইনভার্টার এসি:- এ ধরনের এসির কমপ্রেসর সবসময় ডিসি কারেন্টে চলে এবং এই এসির পিসিবি কম্প্রেসারের স্পিড বা পাওয়ার কম-বেশি করে অর্থাৎ পরিবর্তন করতে পারে। ধরি আমি মাত্র এসি অন করলাম। আমার রুম গরম তাই এসি ছাড়লে প্রথমে ১০০% স্পিডে কাজ করবে।আমি তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে সেট করলে তাপমাত্রা ২৫ এর আশেপাশে আসলে এসি তার কম্প্রেসারের পাওয়ার আস্তে আস্তে ৩০% থেকে ৪০% কমিয়ে দিবে। অর্থাৎ এসি একদম বন্ধ না হয়ে আমি যে তাপমাত্রায় সেট করিছি তা ধরে রাখবে। নন-ইনভার্টার এসির মত কম্প্রেসার বারবার অন-অফ হবে না।

ইনভার্টার এসি এবং নন- ইনভার্টার এসি মধ্যে ব্যাবহারিক পার্থক্য?

* চলার পদ্ধতিটাই ইনভার্টার আর নন- ইনভার্টার এসির প্রধান পার্থক্য। এছাড়া ইনভার্টার এসি শব্দ কম করে থাকে আর এতে ইলেক্ট্রিক বিল অনেক কম আসে। কারন যখন আমি তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে সেট করি তখন ২৫ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা আসার পর অনেক কম পাওয়ার নিয়ে চলে ফলে বিদ্যুৎ খরচ নরমাল এসি থেকে অনেক কম হয়। ইনভার্টার এসি লাগানোর ফলে বিদ্যুৎ খরচ নরমাল এসি থেকে প্রায় ২০%-৩৫% কম হয়।মূলত পিসিবি নামের একটা সার্কিট AC করেন্ট কে DC তে কনভার্ট করে নিয়ন্ত্রিত ভাবে কমপ্রেসার স্পিড কন্ট্রোল করে।

* ইনভার্টার এসি সব ক্ষেত্রে ভালো না। আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি রুম ঠান্ডা করতে চান তাহলে ইনভার্টার আপনার জন্য নয়। কারন ইনভার্টার এসি ধীরে ধীরে রুম ঠান্ডা করে। অপরদিকে নন- ইনভার্টার এসি চালানোর ২-৫ মিনিটের মধ্যে রুম ঠান্ডা করতে পারে ইনভার্টার এসির ক্ষেত্রে যা প্রায় ১০-১২ মিনিট লাগে।

*মনে করেন ২টা সেম ক্যাপাসিটি এবং সেম ক্যাটাগরির রুমের তামপাত্রা ৪২ ডিগ্রি আছে।আপনি একটা ১.৫ টন ইনভার্টার এক রুমে,আরেকটা ১.৫ টন নন ইনভার্টার আরেক রুমে লাগিয়েছেন।দুটা রুমের এসি ২৪ ডিগ্রিতে একসাথে চালু করেছেন। এখন ইনভার্টার, নন ইনভার্টার দুটাই কিন্তু পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করবে রুমের তামপাত্রা ৪২ থেমে ২৪ এ নামিয়ে আনতে।দেখা যাবে নন ইনভার্টার ৪০-৪৫ মিনিটে রুম ২৪ এ আনল এবং ইনভার্টার হয়ত ৫৫-৬৫ মিনিটে ২৪ এ আনল।এই টাইম টায় দুটা এসির পাওয়ার কনজাম্পশন কিন্তু প্রায় সেম থাকবে।
ইনভার্টারের মূল কাজ শুরু হবে এখন।সে ২৪ এ আনার পর আস্তে আস্তে কমপ্রেসার রান করে রুম টেম্পারেচার ২৪ ধরে রাখবে এবং পাওয়ার সেভ করবে।বাট নন ইনভার্টার এখন বারবার অফ/অন হতে থাকবে টেম্পারেচারের ধরে রাখার জন্য,যেটা বিদ্যুৎ কম সেভ করে।।
সো আপনি যদি রুমে ১-২-৩ ঘন্টার জন্য এসি চালান।বা ৭-৮ ঘন্টা ছাড়া ছাড়া এসি চালান আপনার বিল সেভ তো হবেইনা বরং দাম দিয়ে ইনভার্টার কিনে মানি ওয়েস্ট করলেন।
আপনাকে টানা এসি চালাতে হবে যদি বিল সেভ করতে চান।অন্যথায় নন ইনভার্টারের মত বিল আসবে।

* নন ইনভার্টার এসিতে বেশ তাপমাত্রার পার্থক্য দেখা যায়। আমি যদি তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রতে রাখি তাহলে এসি প্রথমে ২৪ ডিগ্রিতে তাপমাত্রায় আনবে এবং কম্প্রেসার বন্ধ হয়ে যাবে তারপর তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি হলে কম্প্রেসার অন হবে। ফলে তাপমাত্রার পার্থক্য বুঝা যাবে।
এদিকে ইনভার্টার সেটেড টেম্পারেচার কনস্টেন্ট রাখতে পারে।যেটা বেটার কমফোর্ট ফিল দেয়।

*রিপেয়ার এবং খরচ নন ইনভার্টারে কম।কারণ এটায় পিসিবি নাই।অপরদিকে ইনভার্টার এসির রিপেয়ার খরচ বেশি।ওয়েরান্টি শেষে পিসিবি নষ্ট হলে আপনার বাঁচিয়ে দেয়া বিলগুলার সবটাই বা তার থেকে বেশি বা তার থেকে একটু কম ফুরিয়ে যাবে সেটা রিপয়ার করতে।

*মেইনটেনেন্স কস্ট নন ইনভার্টারে কম,ইনভার্টারে বেশি।কারণ মাস্টার সার্ভিসিং এ নন ইনভার্টারের আউটডোরে ডিরেক্ট ওয়াটার প্রেসার দেয়া যায়,কোন সার্কিট না থাকার কারণে।অপরদিকে ইনভার্টারে পিসিবি খুলে ওয়াটার প্রেসার দিতে হয়।

♠♠♠এখন আসি একটা মার্কেটিং পলিসি নিয়ে—

Ac company গুলো তাদের মার্কেট পলিসি তে দেখবেন সব সময় বলে থাকে যে ইনভার্টার ac প্রচলিত নন ইনভার্টার ac থেকে 70 % বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এখানে যে বিষয় টা উল্লেখ থাকে না তা হলো প্রচলিত বলতে নন ইনভার্টার ac গুলোতে তে আগে reciprocating অর্থাৎ piston type/bristol কম্প্রেসার ব্যাবহার করা হত। এই কম্প্রেসার গুলো ব্যাবহারে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। বর্তমানে ac তে rotary type কম্প্রেসার ব্যাবহার করা হয়। এই rotary type ac compressor গুলো প্রচলিত পিস্টন টাইপ কম্প্রেসার হতে অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এখন সব ইনভার্টার, নন ইনভার্টার ac তেই rotary type compressor ব্যাবহার করা হয়। তাহলে ব্যাপার টা কি দাঁড়ালো যারা বলে ইনভার্টার ac 70% বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সেটা ঠিক আছে কিন্ত সেটা কোন নন ইনভার্টার ac থেকে সেটা কিন্ত তারা বলে না। সেটা হলো পিস্টন টাইপ নন ইনভার্টার ac compressor থেকে। আধুনিক ইনভার্টার, নন ইনভার্টার সব ac তেই এখন rotary type compressor ব্যাবহার করা হয়। যেহেতু ইনভার্টার ac তে সার্কিট বেবহারের মাধ্যেমে ac কম্প্রসার এর গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেহেতু আধুনিক rotary type compressor এর non inverter AC হতে rotary type ইনভার্টার ac সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০% বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়ে থাকে এর বেশি না। বর্তমানে যেহেতু পিস্টন টাইপ কম্প্রেসার ব্যাবহার করা হয় না তাই মার্কেটিং এর জন্য যেটা বলা হয় 70-75 পার্সেন্ট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সেটা ঠিক না।

♠♠♠সাজেশন—-

* কম ব্যবহার,একটানা ব্যবহার না করলে এবং তাৎক্ষনিক ঠান্ডা করতে নন- ইনভার্টার এসি ভালো হবে।
* কম শব্দের জন্য ইনভার্টার এসি ভালো হবে। নন- ইনভার্টার শব্দ বেশি করে থাকে।(আউটডোর বারান্দায় থাকলে)।
* নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রার জন্য ইনভার্টার এসি ভালো হবে।
*টানা লং টাইম ইউজে বিদ্যুৎ কম খরচের জন্য ইনভার্টার এসি ভালো।
* যে এসির ডেসিবল কম তার শব্দ কম।

♠♠♠আপনার জন্য কত টনের এসি ভালো হবে তা নির্ভর করে আপনার রুমের অবস্থার উপর।আমরা এসি কেনার সময় ভাবি আমার জন্য কয় টনের এসি ভালো হবে। আসুন টন সম্পর্কেও আরেকটু গভীর থেকে জানি,

টন কি? কেন এসিতে পরিমাপ একক হিসেবে টন ব্যাবহার করা হয়?

ধরুন আমি এক টনের এসি আমার রুমে লাগিয়েছি। এই এক টন আমাকে ওইরকম ঠান্ডা দিবে যে রকম একটা এক টন ওজনের বরফ যদি আমার রুমে রাখার ফলে রুম যত খানিক ঠান্ডা হবে বা এক টন বরফ গলাতে যে টুকু তাপ লাগবে তা শোষন করে নিবে।

1 ton A/C = 12000 BTU/Hour

অর্থাৎ এক টনের এসি প্রতি ঘন্টায় রুম থেকে 12000 BTU তাপ শোষন করতে পারে। এখনে BTU মানে ১ পাউন্ড পানিকে ১ ডিগ্রি ফারেনহাইটে গরম করতে প্রয়োজনীয় তাপ।
1 ton = 12000 BTU/h
1.5 ton = 18000 BTU/h
2 ton = 24000 BTU/h
এভাবেই বাড়তে থাকবে।
কত টন এসি নিবেন তা নিভর্র করে আপনার রুম সাইজের উপর।
UP TO 150 sqf 1 ton
UP TO 250 sqf 1.5 ton
UP TO 350 sqf 2 ton
UP To 450 sqf 2.5 ton
এটা হল নন টপ ফ্লোর এর হিসাব।।টপ ফ্লোর হলে,টিনসেড/আরএফএল ফলছাদ হলে,রুমে সারাদিন সূর্যবাবার আলো পড়লে, রুমের হাইট বেশি লম্বা হলে,রুমে সবসময় বেশি মানুষ অবস্থান করলে,রুমের দরজা বারবার খোলা লাগা করলে আপনি আপনার জন্য প্রযোজ্য যে এসি দরকার তার থেকে 0.5 ton বেশি নিবেন।মানে ১ টন লাগলে ১.৫ টন,১.৫ টন লাগলে ২ টন নিবেন।